আতা আমাদের সুপরিচিত ফল।সেই ছেলেবেলায় "আতা গাছে তোতা পাখি, ডালিম গাছে মৌ" ছড়াটি কে না পড়েছে। এর স্বাদ যেমন, স্বাস্থ্যের জন্য এটি তেমনই উপকারী। ভিটামিন সি এর মতো নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এই ফলে।শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থেকে মুক্তি দিতে পরে আতা। এ ছাড়া কোষ্ঠ পরিষ্কার, অরুচি দূর করা, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার প্রয়োজনে আতা খাওয়া উচিত। আতা ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ। এ ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে। আতায় শর্করার পরিমাণ বেশি। আতা লালচে ও সবুজ দুই রঙের। লালচে আতায় সবুজ রঙের আতার চেয়ে ক্যালরি ও আয়রন বেশি থাকে।ডায়াটারি ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্য ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। ভিটামিন বি৬, যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়। ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে আতা খান। আতা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে। আতায় আছে পটাশিয়াম, যা রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই আতা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। আতার নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়।আতা আয়রনে পরিপূর্ণ। তাই এটি খেলে লোহিত রক্তকণিকা বাড়ে। এতে রক্তশূন্যতা দূর হয়। আতার থিয়ামিন খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। আতায় আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।
রোহান পাল
শিক্ষার্থী, মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ, শরীয়তপুর
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়