আপনার সেরা লেখাটা শৈশব পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠিয়ে দিন।

শৈশব

সুতো কাটা চাঁদের বুড়ির দেশে


এক সময় ভাবতেই কষ্ট হতো পৃথিবীর বাইরেও কিছু আছে। কিন্তু যখন জানা হলো পৃথিবীর বাইরের জগত নিয়ে, তখন মানুষ ধরে নিলো এই পৃথিবীর সীমা পার করা অসম্ভব।
কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করেছেন কি? আজ মহাকাশে যান পাঠানো অন্যসব সাধারণ বিষয় এর মতনই বৈকি। আজ প্রতিদিনই মহাকাশে কোনো-না-কোনো যান যাচ্ছে। শুধুই কি যান পাঠিয়ে থেমে রয়েছে মানুষ? এই যে কয়েকদিন আগেও মহাকাশে শুধুমাত্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গেলেন দুই মার্কিন ধনকুবের। তাও নিজেদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি নভোযানে চেপে। ভার্জিন গ্যালাক্টিকে চেপে রিচার্ড ব্র্যানসন, নিউ শেপার্ডে চড়ে জেফ বেজস।
এবার বলুনতো আমাদের পৃথিবীর ঘনিষ্ট প্রতিবেশী কে ? নিশ্চয়ই চেনেন তাকে। পূর্ণিমা রাতের সেই উজ্জ্বল থালা, আমাদের রূপকথার সেই চাঁদের বুড়ির বাসস্থান, আমাদের চন্দ্র মামা।
মহাকাশে যেতে সক্ষম হয় মানুষ কিভাবে চাঁদে না যেয়ে থাকতে পারে?

চলুন আজ জানি মানবজাতির চন্দ্রযাত্রা নিয়ে
আপনার মাথায় নিশ্চই অ্যাপোলো-১১ মিশনের কথা চলে এসেছে। এই মিশন ছিল মানবজাতির জন্য গৌরবান্বিত একটি মহাকাশ যাত্রা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এরপরেও কিন্তু মানুষ চাঁদে গিয়েছিল।


[অ্যাপোলো-১১ মিশন]



১।অ্যাপোলো-১১: সেই ১৯৬৯ সালে, প্রথম মানুষ হিসেবে চন্দ্রের বুকে পা রাখে নীল আর্মস্ট্রং। এর পর নামলেন তার সঙ্গী এডুইন অলড্রিন।এদিকে ত্যাগের উদাহরণ স্বরূপ মূল মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন নিঃসঙ্গ মাইকেল কলিন্স। এই মহান মিশনের ৫২ তম বার্ষিকী ছিলো এই বছরের ২১ জুলাই।

[চাঁদের উপর নীল আর্মস্ট্রং এর পদচিহ্ন]
[চাঁদের উপর নীল আর্মস্ট্রং এর পদচিহ্ন]

২। অ্যাপোলো-১২: অ্যাপোলো-১১ মিশনের কয়েকমাস পরেই -১২ মিশনের অংশ হয়ে ছাদে নামলেন কনরাড ও বীন।

৩। অ্যাপোলো-১৩: ১৯৭০ সালের এই মিশনে ঘটলো বড় এক দুর্ঘটনা। যাত্রাপথেই মূল নভোযানের অক্সিজেন ট্যাংকে ঘটলো বিস্ফোরণ। তাই চাঁদের উপর নামার পরিকল্পনা বাতিল করা হলো। নভোচারীরা সাহসিকতার সহিত কোনক্রমে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারলো।

৪। অ্যাপোলো-১৪: এই মিশনে চাঁদে গিয়েছিলেন নভোচারীর শেপার্ড এবং মিচেল।

৫। অ্যাপোলো-১৫: একটি বৈদ্যুতিক যান সাথে নিয়ে চাঁদে নামলেন ডেভিড স্কট এবং জেমস আরউইন।





৬। অ্যাপোলো-১৬: ১৯৭২ সালে এই মিশনের অংশ হয়ে চাঁদে গেলেন নভোচারীর ইউজিন সার্নান সাথে ভূতত্ত্ববিদ হ্যারিসন।

এই মিশন ছিলো চন্দ্র অভিযানের প্রথম পর্যায়ের ইতি। এই মিশনগুলোর জন্য ৪০০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিলো জার বিনিময়ে আমরা ৩৮০ কেজির মতো চাঁদের মাটি-পাথর আনতে পেরেছি। এগুলো নিয়ে গবেষণা করে জানা যায় চাঁদে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত খনিজ পদার্থ আছে যা আমরা পরবর্তীতে ব্যাবহার করতে পারবো। আমরা বাঙালিরা আশা করতে পারি ২০৪০-২০৫০ সাল নাগাদ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চাঁদে পা রাখবে কেউ। আসুন নিজেকে প্রস্তুত করি সেই গৌরবময় সময়ের জন্য। বিদায়, পরবর্তীতে আবার আসবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে বলতে।

রোহান পাল
শিক্ষার্থী,মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ